logo

আমলার মন

  • August 13th, 2022
Books, Suman Nama

আমলার মন

আমলার মন

সুমন চট্টোপাধ্যায়

আশির দশকে একটা সময় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় আর আমি পাশাপাশি টেবিলে বসে খবরের কাগজে চাকরি করতাম৷ তার পর একদিন যখন শুনলাম তিনি পল্লবগ্রাহিতায় উৎসাহ হারিয়ে রাজপুরুষ হতে চলেছেন, আমার মনে হয়েছিল সেটা আমাদের পেশার পক্ষে বড় একটা ক্ষতি৷ তাঁর সদ্য-প্রকাশিত ‘আমলার মন বইটি গোগ্রাসে পড়তে গিয়ে মনে হল তাঁর সম্পর্কে আমার সেদিনের মূল্যায়ন একেবারেই সঠিক ছিল৷ এমন সাবলীল, ঋজু, নির্মেদ, সংস্কৃতাশ্রিত বাংলা গদ্য লেখা আমার মতো সাধারণ কলমচির আয়ত্তের বাইরে তো বটেই, বিদ্বদজনদের মধ্যেও একান্তই দুর্লভ৷

বইটি লিখতে বসেই একান্ত ‘আলাপনীয় ভঙ্গিতে বিশুদ্ধ তার্কিকের ঢঙে তিনি এক হাত নিয়েছেন সাংবাদিকদের, তাঁর বৃত্তির নামপরিচয় দিতে গিয়ে ‘আমলা শব্দটি আমদানি করে জনমানসে সেটিকে বৈধতা দিয়ে দেওয়ার জন্য৷ এই অভিধা কেন শিরোধার্য হতে পারে না তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি কারণের যে সপ্তপদী রচনা করেছেন তার মধ্যে একটি বিশেষ ভাবে প্রণিধানযোগ্য৷ লেখকের ভাষায়, ‘আমলা শব্দের আভিধানিক অর্থে হীনতাবোধ আছে৷ এই হীনতাকে সঙ্গী রেখে কোনও কর্মের পরিচয় নির্দিষ্ট হওয়া উচিত নয়৷… কর্মাচরণে কোনও অন্তর্নিহিত দৈন্য নেই৷

তাহলে আমলার বিকল্প কোন শব্দটি আমরা ব্যবহার করতে পারি যা চাকুরির দৈন্যকে ভাল বেশভূষা পরিয়ে বেশ চকচকে করে তুলতে পারে? মূঢ়তা হবে বলে আলাপন এই কষ্টসাধ্য প্রয়াসটিতে প্রবেশই করতে চাননি, সেখানে তাঁর মনোভাব একেবারেই দার্শনিকসুলভ৷ ‘বহুবিধ বিকল্পের মধ্য থেকে ভাষা কোন শব্দকে গ্রহণ করবে এবং কোন শব্দকে বর্জন করবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা মূখার্মি৷

আসলে বিবিধ যুক্তির মালা গেঁথে নিজের আপত্তিটাকে প্রায় বিশ্বাসযোগ্য করে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার পরে সমাধানের প্রশ্নে এই যে নির্লিপ্তি, এর পিছনেও কাজ করছে ওই আমলারই মন৷ নিয়মের বইতে কী আছে তা আমি ফাইলে পরের পর সাজিয়ে লিখে দিতে পারি, কিন্তু বিকল্প কী হতে পারে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মন্ত্রী-মশাই!

তিনটি দশক ধরে অবিরত রাজকার্য সম্পাদনের মধ্যে দিয়ে আলাপন যে একজন পরিপূর্ণ আমলা হয়ে উঠেছেন তাতে আর সন্দেহ কি!

তবুও লেখকের এতটা অভিমানী হওয়ার কারণটি বিশেষ হূদয়ঙ্গম হয় না৷ অগোছালো ভাবেই উল্টে-পাল্টে দেখুন, ইংরেজি ‘ব্যুরোক্রাসি শব্দটিও ধোয়া তুলসিপত্র হিসেবে বিবেচিত হয় না একেবারেই৷ বরং একের পর এক মহাজ্ঞানী এই পেশাটিকে নিয়ে উপহাসই করে গিয়েছেন ক্রমাগত৷

বালজাক-ব্যুরোক্রেসি, দ্য জায়ান্ট পাওয়ার উইল্ডেড বাই পিগমিজ৷
অসকার ওয়াইল্ড-ব্যুরোক্রেসি এক্সপ্যান্ডস টু মিট দ্য নিডস অব দ্য এক্সপ্যান্ডিং ব্যুরোক্রেসি৷

মেরি ম্যাকারথি-ব্যুরোক্রেসি দ্য রুল অব নো ওয়ান, হ্যাজ বিকাম দ্য মডার্ন ফর্ম অব ডেসপটিজম৷

কাফকা-এভরি রেভলিউশন ইভাপোরেটস অ্যান্ড লিভস বিহাইন্ড ওনলি দ্য স্লাইম অব এ নিউ ব্যুরোক্রেসি৷

প্রত্যাশিত ভাবেই আলাপন নিজের পেশার উজ্জ্বল দিকটির দিকে আলোকপাত করতে ম্যাক্স ওয়েবারের শরণাপন্ন হয়েছেন,যাঁকে তিনি অভিহিত করেছেন ব্যুরোক্রেসির সবচেয়ে বড় ধ্রুপদী তাত্ত্বিক হিসেবে৷ কেন ভাল না এই পেশাতেই একমাত্র যুক্তির আয়োজন আর পুঁজির আয়োজনের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটেছে৷ লেখকের অননুকরণীয় ভাষায়, ‘যুক্তি এনেছে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও স্তরবিন্যস্ত  নৈর্ব্যক্তিক প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড, পুঁজি চেয়েছে নিয়মের নিশ্চয়তা৷ খেয়ালি চাল-চলনকে সরিয়েই জন্ম নিয়েছে ব্যুরোক্রেসির নিয়ম-নিগড়৷ পরিহাসের কথা, আধুনিক ইউরোপের আইন শাসিত সেই ব্যুরোক্র্যাটের তর্জমা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমলা৷

বিশুদ্ধ আমলাশাহির গুণাবলী ঠিক কি? ওয়েবারের মতে, নিখুঁত, গতিশীল, স্পষ্ট, ফাইলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান, প্রশ্নাতীত আনুগত্য এবং সংঘাতের সম্ভাবনাকে কমিয়ে আনা৷ এই সংজ্ঞাকে মাথায় রাখলেও প্রশ্নাতীত আনুগত্য বিনা অন্য কোনও গুণকে কি ভারতীয় আমলাতন্ত্রের সঙ্গে মেলানো যায়? তাছাড়া পশ্চিমে ওয়েবারকে অনেকেই সোশিওলজির উজ্জ্বলতম আলোক বর্তিকা মনে করলেও, এমন কেউ কেউ আছেন  যাঁরা এই মূল্যায়নের সঙ্গে একেবারেই একমত নন৷ যেমন ঐতিহাসিক আইজাক ডয়শার যিনি ওয়েবারকে মাথায় তোলার এই প্রবণতা দেখে বিশেষ অস্বস্তি বোধ করেছিলেন এবং প্রকাশ্যেই তা ব্যক্ত করেছিলেন৷

ডয়শারের বক্তব্য ছিল রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ‘ফিলোজফিকাল অ্যাপোলজিস্ট যদি হেগেল হয়ে থাকেন তাহলে সবচেয়ে বড় ‘সোশিওলজিকাল অ্যাপোলজিস্ট অবশ্যই ম্যাক্স ওয়েবার৷ ওয়েবার ছিলেন হেগেলের নাতি (ডয়শারের মতে যদিও ‘বামন পৌত্র) এবং দু’জনেই ছিলেন প্রাশিয়ার মানুষ, দু জনেই ভিন্নভিন্ন ভাবে এবং ভিন্নভিন্ন স্তরে আসলে ‘মেটাফিজিসিয়ান্স অব প্রাশিয়ান ব্যুরোক্রেসি৷ আর দু’জনেই যেটা করেছেন তা হল নিজের দেশের সীমাবদ্ধ অভিজ্ঞতাকে গোটা বিশ্বের ক্ষেত্রেও সত্য বলে মনে করা৷ ডয়শারের মতে এটা সরলীকরণ ব্যতীত আর কিছুই নয়৷

আবার ওয়েবারের উল্টো পথে হেঁটে কেবল ব্যুরোক্রেসির বদ গুনগুলি চিহ্নিত করেছেন এমন পণ্ডিতপ্রবরেরাও তো আছেন৷ তাঁদের কাছে রাষ্ট্র এবং আমলাতন্ত্র আসলে ‘পার্মানেন্ট ইউজারপারস অব হিস্ট্রি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ মানবসমাজে যা কিছু কুৎসিত, কদাকার, অশুভ, রাষ্ট্র ও আমলাতন্ত্র হল তাদেরই সাক্ষাৎ প্রতিমূর্তি৷ এমন ঐতিহাসিকও আছেন যাঁরা মনে করেন ফরাসি বিপ্লবের বিশেষ ক্ষতিসাধন করেছিল ওই রাষ্ট্র আর ব্যুরোক্রেসি৷ অর্থাৎ ব্যুরোক্রেসির মূল্যায়ন একরৈখিক ভাবে এগোয়নি, কেননা ‘শেষ নাহি যে শেষ কথা কে বলবে?

অবশ্য ‘আমলার মন একেবারেই তত্ত্ব-আলোচনা নির্ভর নয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে প্রকাশিত তেরোটি সুলিখিত এবং আপাদমস্তক যুক্তিনিষ্ঠ নিবন্ধের সমষ্টি যা একইসঙ্গে অনেক কিছুরই হদশি দেয়-বাংলাদেশে রাজপুরুষদের কালানুক্রমিক ইতিহাস,ইতিহাসের একটি বিশেষ সময়ে সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁদের অবিস্মরণীয় অবদান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তাঁদের স্পর্ধিত দাপাদাপি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নতুন ধারার প্রশাসকের আবির্ভাব এবং অবশ্যই বিস্ফারিত গণতন্ত্রে তাঁদের আবশ্যক ও অনিবার্য অবনমন৷ বিশেষ ভাবে প্রশংসার্হ দুটি বিষয়৷ এক) আগাগোড়া নিজেকে আড়ালে রেখে তাঁর বৃত্তিজীবীদের ওপর নানা দিক থেকে আলোকপাত করেছেন আলাপন যা আবার তাঁর দাবি অনুসারেই উপলব্ধ সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত৷ দুই) আমলা-পুরাণ লিখতে বসে তিনি কেবল আইসিএস-আইএস-ডব্লিউবিসিএসের চর্চার মধ্যে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, অনেকাট সাব-অলটার্ন ইতিহাস চর্চার মতো আলো ফেলেছেন সরকারি কেরানির অন্তরঙ্গ ইতিহাস মায় পিওন-আর্দালি-চাপরাশিদের ওপর৷ তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত যে প্রশাসনিক কাঠামো, সরলীকৃত ভাবে আমরা যাদের আমলা শাহি বলি তার পুরোটাই লেখক পরিক্রমা করেছেন বিবেকী অথচ নির্মোহ মন নিয়ে৷ এমনকী রাষ্ট্রকর্মীর লিঙ্গ আছে কি না, থাকলেও তিনি কোন লিঙ্গভূক্ত, সময়ের প্রতিঘাতে লিঙ্গ-নির্মাণ বা বিনির্মানই বা কী ভাবে চলেছে সেই আপাত-কৌতুকের বিষয়টি‌ও তিনি অমর্যাদা করেননি৷ এই বই তাই সারাটি কর্মজীবন ধরে তাঁর আত্মানুসন্ধানেরও বিশ্বস্ত দলিল৷
আলাপন তাঁর অগ্রজদের মধ্যে বিশেষ ভাবে স্মরণ করেছেন তিন জনকে-প্রাক স্বাধীনতা পর্বে এদেশে ব্রতচারী আন্দোলনের পথিকৃৎ গুরুসদয় দত্ত, স্বাধীনতা-উত্তর কালে রথীন সেনগুপ্ত ও তরুণ দত্ত৷ আলাপনের সুচিন্তিত ধারণা, ভারতে প্রশাসনিক কাঠামোর রূপান্তরের ইতিহাস কোনও দিন যদি মনযোগ দিয়ে লেখা হয় সেখানে গুরুসদয় দত্তের অবদানের কথা কিছুতেই অস্বীকার করা যাবে না৷ কেননা ঔপনিবেশিক শাসনযন্ত্র-শাসন-শোষণ-নিপীড়ণই যার প্রধান চালিকাশক্তি-যে তেমন মানুষের হাতে পড়লে সাধারণ মানুষের উন্নয়নের সঙ্গী হিসেবেও কাজ করতে পারে তাঁর কর্মজীবনে গুরুসদয় তা প্রমাণ করে ছেড়েছিলেন৷ বিদেশি শাসনযন্ত্রের মধ্যে থেকেই যে ‘একটা দিশি কল্যাণব্রত উঠে আসছিল সেই কথাটা ভুলে যাওয়া ঠিক নয়৷ স্বাধীনতা-উত্তর ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন খানিকটা পরিমাণে স্বাধীনতা-পূর্ব দিশি প্রশাসনকর্মীদেরও অবদান৷

রথীন সেনগুপ্ত-তরুণ দত্তদের ভূমিকার মূল্যায়ন হয়েছে ঐতিহাসিক পট-পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে, ঔপনিবেশিক আইসিএসতন্ত্রের অস্তরাগের মুহূর্ত্তের প্রেক্ষাপটে৷ পড়তে পড়তে মনে হয় ইংরেজের হাতে তৈরি প্রশাসকদের সম্পর্কে কিঞ্চিৎ হলেও যেন অবজ্ঞার মনোভাব আছে আলাপনের, তুলনায় স্বাধীনতা-উত্তর দেশজ প্রশাসকদের সম্পর্কে তিনি অনেক বেশি সহূদয়৷ আইসিএসদের অবদান কিংবা আকর্ষণকে তিনি খাটো করেননি কিন্তু তাঁর মনে হয়েছে ‘উপনিবেশ-উত্তর গণতন্ত্রের রীতিনীতির সঙ্গে এঁরা অসমঞ্জ ছিলেন৷ এঁদের কেউ কেউ ছিলেন বংশানুক্রমিক রাজপুরুষ, কেউ কেউ জমিদার নন্দন, প্রায় সকলেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সুখী পৃথিবীর লোক, সমাজপতি বা শাসক হতেই অভ্যস্ত৷ গণতন্ত্র এঁদের অভ্যাসে ঢোকেনি৷ নেহরু এজন্যই এঁদের পছন্দ করতেন না৷

এই মূল্যায়নে মৃদু আপত্তি আছে আমার৷ জওহারলাল নেহরুর ‘আইসিএস মেন্টালিটি সম্পর্কিত বীতরাগের কথা সুবিদিত৷ কিন্তু বিপরীত দিকের সত্যটা হল স্বাধীনতার পরে বেশ কয়েকটি বছর দেশ পরিচালনার জন্য এঁদের ওপরেই নেহরু নির্দ্বিধায় নির্ভর করেছিলেন৷ ১৯৫২ সালে দেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনটিও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এঁদেরই তত্ত্বাবধানে৷ ঔপনিবেশিক শাসনের বিশ্বস্ত হাতিয়ার হিসেবে এঁরা ব্যবহৃত হতেন এ কথা যেমন ঠিক তেমনি রাজনীতি-নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিএস সম্প্রদায়ের যে সুনাম ছিল, দুর্ভাগ্যক্রমে তাঁদের উত্তরসূরিদের তা ছিল না৷ বিশেষ করে ভারতীয় আইসিএসদের৷

সে জন্যই নেহরুর উন্নাসিক মনোভাবের কথা জেনেও বল্লভভাই প্যাটেল এঁদের পাশে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন৷ তাঁর যুক্তিটি ছিল, ইংরেজ আমলে আনুগত্যের জন্য সুনাম ছিল বলেই স্বাধীনতা উত্তর কালেও এঁরা সমান উপযোগী৷ কনস্টিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির বিতর্কে বেশ কয়েকজন বক্তা যখন আইসিএসদের মুন্ডুপাতে মুখর, ঠিক উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল প্যাটেলের গলায়৷ তিনি বলেছিলেন, ‘ডু নট কোয়েরল উইথ দ্য ইনস্ট্রূমেন্ট উইথ হুইচ ইউ ওয়ান্ট টু ওয়ার্ক৷ ইট ইজ এ ব্যাড ওয়ার্কম্যান হু কোয়ারলস উইথ হিজ ইনস্ট্রূমেন্টস৷

প্যাটেলের বক্তব্য ছিল সেবকের কাজ সেবা করা, এই ভাবেই আইসিএস-দের কাজের মূল্যায়ন করতে হবে৷ তাঁর কথায়, ‘আমি নিজেও গ্রেপ্তার হয়েছি৷ একবার নয় বেশ কয়েকবার হয়েছি৷ কিন্তু কারাবরণের কারণে প্রশাসনের কাজে যাঁরা আছেন তাঁদের প্রতি আমার মনোভাবে কোনও বিদ্বেষ জন্মায়নি৷ হতে পারে এঁদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন যাঁরা খারাপ, তাঁদের আমিও সমর্থন করি না৷ কিন্তু এঁদের মধ্যে কি এমন অনেকে নেই যাঁরা সৎ ও পরিশ্রমী? এই সভায় দাঁড়িয়ে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানাতে চাই, গত দুই-তিন বছরে এই সার্ভিসের সদস্যরা যদি আনুগত্য আর গভীর দেশপ্রেমের সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা না করতেন তাহলে দেশটাই ধ্বংস হয়ে যেত৷

আমলার মন তাই পক্ষপাতহীন হওয়াটাই বোধহয় সবচেয়ে জরুরি!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *